কোটাবিরোধী আন্দোলন
জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জাবি প্রতিনিধি
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের মেধাভিত্তিক নিয়োগে সরকারি পরিপত্র বহালের দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে তারা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেমে এসে মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ নিয়ে পঞ্চম দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবদুর রশীদ জিতু বলেন, ‘যদিও আমাদের আজ দুপুর ৩টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি ছিল, কিন্তু আজ ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব থাকায় আমরা সড়ক অবরোধের সময় পরিবর্তন করেছি। এছাড়াও যেহেতু এইচএসসি পরীক্ষা চলমান, তাই বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই আমরা আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রেখেছি।’ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলনকে বিফলে যেতে দেব না। দাবি বাস্তবায়িত না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো। আন্দোলনের কারণে যদি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী মারা যায়, এইচএসসি পরীক্ষা আটকে যায়, ব্যবসায়িক ক্ষতি হয় তাহলে এর দায়ভার রাষ্ট্রকে নিতে হবে। পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন সাধারণ মানুষের, জনমানুষের আন্দোলন। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য যাত্রীদের সাময়িক দুর্ভোগের জন্য আমরা দুঃখিত। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া না হলে প্রয়োজনে সারা দেশ অচল করে দেওয়া হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করা, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।