‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জেমস বাস্তবায়নের ফলে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা স্মার্ট হবে’ বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। জেমসের মাধ্যমে সরকারের শূন্য পদের তালিকা সহজেই পাওয়া যাবে। ফলে নিয়োগ ও পদায়ন প্রক্রিয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা গভর্নমেন্ট এমপ্লি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (জেমস) অধীনে অর্গানাইজেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (ওএমএস) মাধ্যমে মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আওতাধীন সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো বা অর্গানোগ্রামের তথ্যাদি অন্তর্ভুক্তির জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ হয়। গত ৫ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মোট ১৫টি ব্যাচে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা-চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জেমস বাস্তবায়নের ফলে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা হবে স্মার্ট। তিনি আরো বলেন, জেমসের মাধ্যমে সরকারের শূন্য পদের তালিকা সহজেই পাওয়া যাবে। ফলে নিয়োগ ও পদায়ন প্রক্রিয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। মন্ত্রী বলেন, কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনায় প্রচলিত এসিআর সিস্টেমের পরিবর্তে কর্মপরিকল্পনাভিত্তিক স্মার্ট এপিএআর সিস্টেম শিগগিরই প্রবর্তিত হতে যাচ্ছে। ফলে যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে পদায়ন করা সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সরকারি কর্মচারীদের দক্ষ এবং যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তার তথ্য-উপাত্ত এ সিস্টেম থেকে সহজেই পাওয়া যাবে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। এছাড়া অনুষ্ঠানে জেমসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।