জমানো টাকায় হাত না দিয়ে যারা একটি দুর্দান্ত ক্যামেরা ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে রয়েছে বেশ বৃহৎ পরিসরের বিকল্প অফার। ২০ হাজার টাকার মধ্যেই যদি পেতে চান বেশি পরিমাণ মেগাপিক্সেল, একাধিক লেন্স কনফিগারেশন এবং আপনার মোবাইল ফটোগ্রাফিকে আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে এমন সব ফিচার, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি বিকল্প।
ক্যামেরা স্পেসিফিকেশন-
মেগাপিক্সেল : যদিও মেগাপিক্সেলই একটি ক্যামেরার সবকিছু নয় তবুও বিবেচনার জন্য এটি একটি ভালো পয়েন্ট। সাধারণত এই দামের ফোনগুলো ৪৮ মেগাপিক্সেল থেকে ৬৪ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা দিয়ে থাকে যা দিয়ে তোলা যায় নিখুঁত সব ছবি। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেন্সরের আকার এবং ফোনের চিত্র প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতার দিকেও। রেডমি ১৩তে পাচ্ছেন ১০৮ মেগাপিক্সেলের একটি শক্তিশালী মূল ক্যামেরা, যা হতে পারে বাজেটের মধ্যেই অসাধারণ পছন্দ।
একাধিক লেন্স : বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনেই দেখা যায় দুই বা তিনটি রিয়ার ক্যামেরা। এরমধ্যে থাকে একটি ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স যা বিস্তৃত দৃশ্য ধারণ করতে পারে, কাছাকাছি ও স্পষ্ট ছবি তোলার জন্য একটি ম্যাক্রো লেন্স এবং উন্নতমানের প্রতিকৃতি ফটোগ্রাফির জন্য থাকে একটি ডেপথ সেন্সরযুক্ত লেন্স।
নাইট মোড : বাজেট ফোন দিয়ে কম আলোতে ফটোগ্রাফি করা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার, কিন্তু নাইট মোডের ব্যবহার আবছা আলোর ছবির গুণমানকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে। এমন কোনো ফিচার আপনাকে খুঁজতে হবে যা সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবির নয়েজ কমিয়ে রাতের শটগুলোকে আরো উজ্জ্বল করে তুলবে। কম আলোতেও উন্নত মানের ছবি তোলার জন্য রেডমি ১৩-তে রয়েছে একটি চিত্তাকর্ষক ১/১.৬৭ ইঞ্চি সেন্সর।
প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ টিপস-
লেন্স পরিষ্কার রাখুন : একটি নোংরা লেন্স আপনার ছবিগুলো নষ্ট করে দিতে পারে। নিয়মিত লেন্স মোছার জন্য একটি নরম মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করুন। শক্তিশালী রাসায়নিক বা ক্ষয়কারী উপকরণ এড়িয়ে চলুন। রেডমি ১৩-তে আছে আইপি ৫৩ রেটের ডাস্ট ও স্ক্র্যাচণ্ডপ্রতিরোধী লেন্স রয়েছে যা স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির জন্য হতে পারে গেমণ্ডচেঞ্জার।
কেসের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন : এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ফোনের কেস যেন ক্যামেরার লেন্সকে ঢেকে না ফেলে। ক্যামেরার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা কাটআউট ওয়ালা কেস ব্যবহার করুন। সফটওয়্যার আপডেট : ফোন নির্মাতারা প্রায়ই সফটওয়্যার আপডেট প্রকাশ করে থাকে যা ক্যামেরার কর্মক্ষমতাকে উন্নত করে। নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার আপডেট রাখলে পাবেন সম্ভাব্য সর্বোত্তম ফলাফল।
স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট : উচ্চণ্ডরেজল্যুশনের ছবি সংরক্ষণ করতে বেশ অনেক স্টোরেজ স্পেস প্রয়োজন হয়। স্টোরেজ স্পেস কমে যাওয়া এড়াতে নিয়মিত কম্পিউটার বা ক্লাউড স্টোরেজে ছবি স্থানান্তর করতে পারেন, যা ক্যামেরা কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
অধিক তাপমাত্রা এড়িয়ে চলুন : অতিরিক্ত তাপ বা ঠান্ডা আপনার ক্যামেরার বিভিন্ন উপাদানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আপনার ফোনটি বেশি সময়ের জন্য সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখা বা খুব ঠান্ডা পরিবেশে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করুন : একটি ফাটলযুক্ত/ফেটে যাওয়া স্ক্রিন আপনার ভিউফাইন্ডারকে অস্পষ্ট করে দিতে পারে এবং আপনার শট নেওয়াকে কঠিন করে তুলতে পারে। একটি ভালো ক্যামেরা অ্যাপ এবং স্থির হাত আপনার মোবাইল ফটোগ্রাফির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাতে পারে। এমনকি একটি বাজেটবান্ধব ফোনেও অত্যাশ্চর্য ছবি তুলতে বিভিন্ন কোণ, আলোর অবস্থা এবং এডিটিং অ্যাপ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। অন্যান্য স্মার্টফোনের মধ্যে রিয়েল মি সি৬৩ ও ভিভো ওয়াই১৮ পরখ করে দেখতে পারেন। এতে বেছে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি অপশন পাবেন।