১০ টাকার প্রকল্পের কাজে ৩ থেকে ৫ টাকা ঘুষ দিয়ে, বাকি ৫ টাকা দিয়ে কাজ করা চলবে না। এটা আপনাদের ধরতে হবে এবং এরকম অবস্থায় পড়লে তাদের অত্যন্ত শক্ত হাতে দমন করতে হবে। প্রকল্পে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুনীতি বরদাশত করা করা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম। প্রতিটি প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করতে এবং ব্যয় বৃদ্ধি যাতে না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি প্রকল্পে যারা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের শক্তহাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আব্দুস সালাম বলেন, ‘১০ টাকার প্রকল্পের কাজে ৩ থেকে ৫ টাকা ঘুষ দিয়ে, বাকি ৫ টাকা দিয়ে কাজ করা চলবে না। এটা আপনাদের ধরতে হবে এবং এই রকম অবস্থায় পড়লে তাদের অত্যন্ত শক্ত হাতে দমন করতে হবে।’
প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে মত দেন তিনি। যতগুলো প্রকল্প শেষ হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে কতদিন লেগেছে, প্রকল্পের সংশোধন, ব্যয় বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়সহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে আইএমইডিকে নির্দেশনা দেয়া হয় সভায়। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এর উপর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা অনেকাংশে নির্ভরশীল। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ভবিষ্যৎ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের করার ক্ষেত্রে অনেক বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়।’ এ সময় মন্ত্রী বৈশ্বিক বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা প্রভৃতি কারণে প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন না হওয়া এবং ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কথা উল্লেখ করে এসব চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করেই প্রকল্প প্রণয়ন করার নির্দেশনা দেন। তিনি জনসম্পৃক্ততা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প বাছাই ও বাস্তবায়নের উপর নজর রাখার পরামর্শ দেন। মন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রকল্পে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যার পুরোটাই ব্যয় হবে প্রকল্পের উন্নয়নে। বর্তমান সরকার প্রকল্পে বৈদেশিক সাহায্য কমিয়ে আনতে কাজ করছে। এজন্য আইএমইডির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।