ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার

সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি ও অপপ্রচারের অভিযোগে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী মো. মহিবুল্লাহ। বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে মহিপুর থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান জানিয়েছেন।

নালিশী মামলার বিবাদীরা হলেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল ইসলাম সোহাগ, মহিপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক এমপি মাহাবুবুর রহমানের অনুসারী আরিফ বিল্লাহ নাসিম ও যুবলীগ নেতা শামীম আল সাইফুল সোহাগের অনুসারী এবং তার প্রচারণার দায়িত্বে থাকা রনি হোসেন রকি।

এদিকে প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, মহিপুর ও কুয়াকাটার সাধারণ জনগণ। নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।

মামলার তথ্যে জানা যায়, মামলার বাদীসহ সাক্ষীরা গত ৯ জুলাই দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পান বিবাদীরা যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল ইসলাম সোহাগের নির্দেশে একটি ভিডিও আপলোড করেছে। সেখানে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যব¯’াপনা প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি ও পরিচয় তার অনুমতি ছাড়া সংগ্রহ ও ব্যবহার করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন এবং মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করে তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সুপার ইডিট করে একটি ভিডিও প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তার ছবি ও পরিচিত ব্যবহার করে বিবাদীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ঘৃনা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা অপচেষ্টা করেছে। এতে ত্রাণ ও দুর্যোগব্যব¯’াপনা প্রতিমন্ত্রীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। মামলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যব¯’াপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে ১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।

মামলার বাদী মো. মহিবুল্লাহ বলেন, সাইবার আইনে মামলা ছাড়াও এ ঘটনায় রাঙাবালী ও কলাপাড়া থানায় পৃথক দুইটি সাধারন (জিডি) করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মামলার দুই নম্বর আসামি রনি হোসেন রকির প্রধান অর্থদাতা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শামীম আল সাইফুল সোহাগ। রনির পুরো ফেসবুকজুড়ে শুধু সোহাগ বন্দনা তার নির্দেশেই আরিফ বিল্লাহ ও রনি ফেসবুকে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে হেয় করা এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মূলত গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন শামীম আল সাইফুল সোহাগ। তিনি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে এ ধরনের নোংরামি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওটিতে অনেকেই এডিটেট, ভুয়া বলে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত