ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোটা সংস্কার

আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল ২১ আগস্ট

আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল ২১ আগস্ট

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্যকাজে বাধাদান, যানবাহন ভাঙচুর, তাদের ওপর হামলা, দাঙ্গা সৃষ্টি ও দাঙ্গা দমনকারী কর্তব্যরতদের প্রতি আক্রমণের অভিযোগের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল শনিবার মামলাটির এজাহার আদালতে আসে। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার চৌধুরীর আদালত এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন। গত শুক্রবার রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী প্রথমে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় জড়ো হয়ে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করেন। পরে বিকাল ৪টার সময় স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগ মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে ‘বেআইনি জনতায় আবদ্ধ হয়ে’ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করেন। তারা শাহবাগ মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন ও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারধর করে জখম করেন। পরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা ছাত্রদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে আবারো শাহবাগ মোড়ে ফিরিয়ে আনতে যায় উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ‘এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাশে নিরাপদ স্থানে রাখা এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যাননের চারিদিকে ঘেরাও এবং ওপরে উঠে আন্দোলনকারীরা উদ্দাম নৃত্য শুরু করেন। তারা ওয়াটার ক্যানন চালককে গাড়ি থেকে জোর করে বের করার চেষ্টা ও গতিরোধ করেন। এর ফলে এপিসি ২৫-এর সামনের দুটি এসএস স্ট্যান্ড, বনেটের উপরে বাম পাশে রেডিও অ্যান্টেনা এবং ডান পাশের পেছনের চাকার মার্টগার্ড চলি এবং ওয়াটার ক্যাননের বাম পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন। এ সময় সিনিয়র স্যাররা (পুলিশ কর্মকর্তারা) ছাত্রদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যানন থেকে নামিয়ে আনেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল, টেপ-টেনিস বল ও ইটের টুকরা ছুড়ে মারেন। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন।’ মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত সব সিনিয়র কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্ররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগের আন্দোলনে যোগ দেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বারডেম হাসপাতালের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সদস্যদের আহত করেন। তারা পুলিশকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেন। ছাত্ররা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা এবং শাহবাগ থানায় ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পুলিশকে মারতে তেড়ে আসেন ও পুলিশকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত