ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হঠাৎ সরগরম বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়

নেতাকর্মীদের ভিড়
হঠাৎ সরগরম বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়

দলের ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৫টি পদে কোথাও রদবদল, কোথাও আবার নতুন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়েছে নেতাদের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দলের ত্যাগী ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির শূন্যপদসহ কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্যপদ পূরণে কাজ চলছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে বিলুপ্ত হওয়ার প্রায় এক মাস পর ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপি এবং যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে যুবদলের আংশিক কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হলেও বিএনপির মহানগরগুলোতে দেওয়া হয়েছে আহ্বায়ক কমিটি। কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর এখন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেতাকর্মীদের ভিড়ে সরগরম থাকে। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও যুবদলের কমিটি গঠনের পর কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঘোষিত কমিটিতে যাদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে তাদের সিংহভাগই ২৮ অক্টোবরের আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে সদ্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ২৮ অক্টোবরের আগেই পুলিশের হাতে আটক হন। যারা নতুন নেতৃত্বে এসেছেন তাদের মধ্যে একমাত্র যুবদলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন জেলের বাইরে ছিলেন। জেলের বাইরে থেকে আন্দোলনে তিনি রাজপথে ছিলেন সরব।

এদিকে ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে নতুন কমিটি দিলেও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির কমিটি নিয়ে কয়েকজন নেতা আক্ষেপ করেছেন। তবে ঘোষিত যুবদলের কমিটি নিয়ে নেই কারো কোনো অভিযোগ। যুবদলের নেতারা বলছেন, এ কমিটিতে মূলত রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকেই নগর নেতারা আসন্ন কমিটি দুটিতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ের কথা বলেছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব বলেন, বিএনপি একটি বড় সংগঠন। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেই। সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যাব। যারা ২০ পাওয়ার যোগ্য তাদের ১৮ হলেও দিবো। কাউকে ছুড়ে ফেলে দিবো না। দল হবে শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়ে। আমাদের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং জনগণের হারানো বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা। এদিকে যুবদলের কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় সরগরম রেখেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। যুবদলের ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটি নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে করছেন আনন্দ মিছিল।

যুবদলের নতুন কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এর আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর নতুন সাধারণ সম্পাদক নয়ন ছিলেন ওই কমিটির সহ-সভাপতি। আগের কমিটি বিলুপ্ত করার পর থেকেই এই দুজন মূল নেতৃত্বে আসতে পারেন বলে আলোচনা চলছিল।

নতুন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর সোহেল-পিন্টু কমিটির সদস্য হিসেবে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে রেজাউল করিম পল যুবদলের গত কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সভাপতি এবং ছাত্রদলের টুকুণ্ডআলিম কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তার রয়েছে নিজস্ব কর্মী বলয়। নিজ এলাকায়ও রয়েছে শক্ত ভিত। কামরুজ্জামান জুয়েল ছিলেন যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে রাজপথে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মতো। বিল্লাল হোসেন তারেক ছিলেন যুবদলের গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এবং নূরুল ইসলাম সোহেল ছিলেন যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক।

যুবদলের নতুন কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান যুবদলসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিটি গঠনে শ্রম ও রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিকদের মূল্যায়ন করেছেন। আমরা সবাইকে নিয়েই এগিয়ে চলব। তিনি আরো বলেন, যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমাদের মূল্যায়ন করেছেন আমরা যেন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি তার জন্য আপনাদের (গণমাধ্যম) সহযোগিতা কামনা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত