ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

ভূমি সচিব
অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেছেন, স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা ভূমি খাতে গুণগত পরিবর্তন আনবে, যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গতকাল সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১-এর ২৬ ধারা অনুযায়ী ‘সরকারি সম্পত্তির’ অনুকূলে অভিন্ন খতিয়ান নম্বর বরাদ্দ এবং অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনঃনির্ধারণ’ সংক্রান্ত কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমি সচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের আওতায় প্রাপ্ত সরকারি সম্পত্তি ইজারা নিয়ে স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সালামির হারে বিশেষ রেয়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইবরাহিম, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

ভূমি সচিব আরো বলেন, ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয় বহুমুখী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ভূমি খাতকে সরকারের রাজস্ব আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষ খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। একই সঙ্গে দেশের প্রান্তিক ও অনগ্রসর অঞ্চলের মানুষের জন্য স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার সুফল নিশ্চিত করাও আমাদের অগ্রাধিকার। এসব উদ্যোগ ভূমি খাতে গুণগত পরিবর্তন আনবে, যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, কর্মশালায় ক-তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য সারা দেশে অভিন্ন নতুন খতিয়ানে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সালামির হার পুনঃনির্ধারণ একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এবার প্রথমবারের মতো শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিশেষ রেয়াতের সুবিধা বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, অর্পিত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট জনভোগান্তি দূর করতে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্র জারি করেছে।

উল্লেখিত একটি পরিপত্র অনুযায়ী, কোনো জমির খতিয়ানে দাগের আংশিক অর্পিত সম্পত্তির অংশ এবং আংশিক ব্যক্তিমালিকানাধীন হলে, অর্পিত সম্পত্তির অংশ বাদ দিয়ে বাকি অংশের যতটুকু ব্যক্তিমালিকানাধীন তা নামজারি করে দেওয়া হবে এবং নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ করা হবে।

একই সময়ে জারিকৃত অপর একটি পরিপত্র অনুযায়ী, বাতিলকৃত ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির মধ্যে যেসবের মালিকানা আবেদনকারীর পক্ষে আদালত কর্তৃক নিরঙ্কুশভাবে প্রমাণিত হয়েছে কিংবা আবেদনকারীর বৈধ প্রমাণাদি ও দলিলাদি আছে, সেসব সম্পত্তির রেকর্ড সংশোধন করে মালিকানা হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া, বাতিলকৃত ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির মধ্যে যেসবের মালিকানার কোনো দাবিদার নেই, সেসব সম্পদ খাসকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত