ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৫৫

দেশে ফের ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরো ১৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই ৪৭ জন রয়েছে। আর সর্বোচ্চ ৬৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। তবে এ সময় নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮ জনে স্থির আছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৭ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রামে ৬৫, বরিশালে ১১, খুলনায় ১৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন করে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট চার হাজার ৫৬৬ জন। যাদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী। এ সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন চার হাজার ১০০ জন। ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মৃত ৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪৩ দশমিক ৮০ শতাংশ পুরুষ। প্রতিবছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।