ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ থেকে সব নিটিং ফ্যাক্টরি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

আজ থেকে সব নিটিং ফ্যাক্টরি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

‘সব নিটিং ও কলার শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে’ আজ সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের সব নিটিং ও কলার ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। কিছু কিছু গার্মেন্টস মালিকের অসহযোগিতার কারণে নতুন নিটিং মজুরি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত চার বছরে ডলারের মূল্য ৪০ শতাংশের অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে আমদানিকৃত কাঁচামাল যেমন নিডেল, সিংকার, নিডেল ওয়েলসহ অন্যান্য এক্সেসরিজ এর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। তার সাথে শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, পরিবহন খরচ, কারখানা ভাড়া বৃদ্ধি উপরন্ত দফায় দফায় বিদ্যুৎ এর মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিটিং মালিকরা আজ দিশাহারা। প্রতিমাসে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই আপনাদেরই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নিটিং মজুরি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব নিটিং ও কলার ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত ১ জুন সংগঠনটির নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, এক কেজি সিঙ্গেল জার্সি কাপড় নিটিং (সুতা থেকে বুনন) করে তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১৯ টাকা। অথচ সেখানে নিটিং মালিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। তাই তারা সুতা থেকে কাপড় বুননের মজুরি ২০ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে পোশাক কারখানার মালিকদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু পোশাক কারখানার মালিকরা বর্ধিত মজুরি দেয়নি।

এবিষয়ে বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকজন নিটিং মালিকরা জানান, প্রতিমাসে লোকসান দিয়ে নিটিং ফ্যাক্টরি চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিমাসে লোকসান দিয়ে নিটিং ফ্যাক্টরি চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন নিটিং মজুরি বাস্তবায়ন কিছু কিছু গার্মেন্টস মালিকের অসহযোগিতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের (বিকেওএ) সভাপতি সেলিম সারোয়ার জানান, পোশাকশিল্প মালিকদের অবহেলা ও অসহযোগিতার কারণে নিটিং কারখানাগুলো রুগন্ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। এরই মধ্যে সারা দেশে ৩০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চলমান প্রায় আড়াই হাজার নিটিং কারখানায় আড়াই লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও মালিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে সব নিটিং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ জুলাই সকাল ৮টা থেকে দেশের সব নিটিং ও কলার কারখানার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধরাখার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত