কক্সবাজারের টেকনাফের কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জেলা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম চৌধুরী সুমন। তিনি বলেন, ‘রহিম উল্লাহ আট সপ্তাহের জন্য উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। এ সময় মামলার দুই পক্ষের শুনানি শোনেন আদালত। একপর্যায়ে হত্যা মামলার এজাহারে অভিযুক্ত থাকায় বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে রহিম উল্লাহর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’ এর আগে গত ৬ মে বিকালে উখিয়ার পজালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের অলি উল্লাহর ছেলে রফিক উল্লাহ, সৈয়দ আহমদ ওরফে জকির আহমদের ছেলে মো. আদিলসহ কয়েকজন মোবাইলে ছবি সংরক্ষণ থাকাকে কেন্দ্র করে শামলাপুর বাজারে গিয়ে কক্সবাজার হার্ভার্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাগিব শাহারিয়ার মুরাদ ও তার বড় ভাই আল আসাদ মামুনের উপর হামলা করে। ছুরিকাহত মুরাদ ও মামুনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন মুরাদের বাবা মো. সাইফুল্লাহ। মামলায় রহিম উল্লাহসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরো তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়। তবে মামলার ১ মাস পার হয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার ৪ নম্বর আসামি রহিম উল্লাহ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে তাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নিহত মুরাদের বাবা মো. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমার আদরের সন্তানকে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করেছে খুনিরা। বড় ছেলেকেও গুরতর জখম করেছে। মামলার একমাসেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না; কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
যাতে কোনো অপরাধী অপরাধ করে পার না পায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দস্তগীর হোসেন বলেন, এই মামলার ৪ নম্বর আসামি ৮ সপ্তাহের জন্য উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। অন্য আসামিদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ। খুব শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মামলার তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।