পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলকেন্দ্রিক জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তবে অতীতে তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকায় পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে ইমামবাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এরই মধ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশে তল্লাশি সম্পন্ন করা হয়েছে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছে। ইমামবাড়ার আশপাশে যেসব উঁচু ভবন রয়েছে সেসব ভবন থেকে কেউ বা কোনো গোষ্ঠি যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘটাতে না পারে সেজন্য এসব ভবনগুলোর ওপরে ও নিচে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার, তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, রাজধানীতে যেসব ইমামবাড়া রয়েছে সে সমস্ত জায়গায় পুলিশের ডগ স্কোয়াড চেকিং সুইপিং সবকিছু এরই মধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ইমামবাড়ায় যারা প্রবেশ করবেন, তাদের অবশ্যই আর্চওয়ে গেটে তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
ইমামবাড়ার সন্নিকটে যেসব উঁচু ভবন রয়েছে সেসব ভবন থেকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করবে। ইমামবাড়াসহ পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইমামবাড়ার আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া থেকে মিছিল বের হয়ে যে স্থানে যাবে, এবং সে রাস্তার যে পাশ দিয়ে যাবে সবখানে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তায় থাকবে। কেউ বা কোনো গোষ্ঠী গুজব বা অপপ্রচার করতে না পারে সেজন্য সাইবার স্পেসেও মনিটরিং করা হবে, যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, ইমামবাড়ার ভেতরে যেন কেউ ছুরি-চাকু দিয়াশলাই বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষকেও আমরা নজরদারির জন্য অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে পুলিশও এ বিষয়টি নজরদারি করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের যেহেতু পতাকা নেওয়ার একটি প্রচলন রয়েছে, সেজন্য পতাকা যেন খুব বেশি উঁচু না হয় বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে যেন বেঁধে না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে তাজিয়া মিছিলের সব নিরাপত্তা প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করছি আগামী তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।