রান্না করতে গিয়ে গরম কড়াইয়ের ছেঁকা খাননি এমন মানুষ কমই আছেন। রোজকার রান্নাবান্না করতে গিয়ে গাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা হামেশাই ঘটে। আবার অনেক সময় জামাকাপড় ইস্ত্রি করতে গিয়েও অসাবধানতাবশত ছেঁকা লাগতে পারে। পোড়া অংশের জ্বালা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগান। কিন্তু নিজের মতো চিকিৎসা করতে দিয়ে মাঝেমধ্যেই কিছু ভুল হয়ে যায়। এতে স্বস্তির বদলে ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন, পুড়ে গেলে কোনো ভুলগুলো করা যাবে না-
ফোস্কা ফাটিয়ে ফেলা : পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে অনেক সময়ে ফোস্কা পড়ে যায়। অনেকেই ব্যথা কমাতে এই ফোস্কা ফাটিয়ে ফেলেন। এতে সংক্রমণ আরো বেড়ে যেতে পারে। ফোস্কা যদি নিজে থেকে না ফাটে তাহলে জোর করে ফাটানোর দরকার নেই।
টুথপেস্ট : পুড়ে যাওয়া অংশের জ্বালা কমাতে অনেকেই ক্ষতস্থানে টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকেন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা আরো বেশি থাকে। তাই টুথপেস্ট নয়, বরং কোনো অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল মলম লাগাতে পারেন। ক্ষত কমাতে মাখন মাখলেও উপকার পাওয়া যায়।
বরফ : পোড়া স্থানে বরফ ঘষলে সাময়িকভাবে জ্বালা কমে। কিন্তু এতে ওই স্থানের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পোড়া স্থানে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। সাধারণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন।
পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখা : হাতের কোনো অংশ পুড়ে গেলে জ্বালা কমাতে বেশিক্ষণ পানিতে ডুবিয়ে না রাখাই ভালো। চিকিৎসকদের মতে, খুব বেশি হলে ১০ মিনিট ক্ষতস্থান পানির নিচে রাখতে পারেন। এর বেশি রাখবেন না।
রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে বেশি। এ সময় দুই হাত ভালো করে ধুয়ে নেয়া জরুরি। কারণ, রান্নার সময় হাতে লবণ, তেল, হলুদ লেগেই থাকে। ক্ষতস্থান অপরিষ্কার হাত দিয়ে স্পর্শ করলে ক্ষত আরো গভীর হতে পারে।