বেওয়ারিশ কুকুরের প্রাণী অধিকার এবং জীবনের নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিস পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার্ড পোস্ট এবং ই-মেইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান এবং মো. জাকির হাইদারের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিসে বলা হয়েছে, মানুষের নিরাপত্তা বিধানকে প্রাধান্য দিয়ে এবং বেওয়ারিশ কুকুরের প্রাণী অধিকার এবং জীবনের নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে বন্ধ্যাকরণ, আবাসন নিশ্চিতকরণ, টিকাদানসহ অন্যান্য উপায়ে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত আবশ্যক। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু পদক্ষেপ নিলেও তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নোটিশটিতে বেওয়ারিশ কুকুরের বন্ধ্যাকরণ, আশ্রয়স্থল নিশ্চিতকরণ, টিকাদান অভিযান, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শক্তিশালী আইন প্রয়োগ, মোবাইল পশুচিকিৎসা ক্লিনিক স্থাপন, প্রাণী নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, জনস্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, প্রাণী অধিকার সংরক্ষণে এনজিওদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব, কুকুরদের মাইক্রোচিপিং এবং নিবন্ধন, জরুরি প্রতিক্রিয়া দল গঠন, খাদ্য স্টেশন, কুকুর জনসংখ্যার ওপর গবেষণা, ফস্টার কেয়ার প্রোগ্রাম পরিচালনা, স্কুল পাঠ্যক্রমে প্রাণী কল্যাণের অন্তর্ভুক্তি, নবজাতক কুকুরছানাদের যত্ন এবং কুকুরদের আচরণগত প্রশিক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে, যা বেওয়ারিশ কুকুরের প্রাণী অধিকার অক্ষুণ্ণ রেখে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে জননিরাপত্তা বিধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। নোটিশ পাওয়ার পর আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তার অগ্রগতি সম্পর্কে একটি জনবিবৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।