দিনাজপুরে আমন চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ
২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বীরগঞ্জ, দিনাজপুর থেকে
চলতি আমন মৌসুমে খরিপ-১, এ-২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। এই জেলায় এ পর্যন্ত আগাম জাতের ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। ভরা মৌসুমে এখন জেলার প্রতিটি উপজেলায় কৃষকরা আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, জেলায় চলতি আমন চাষ মৌসুমে খরিপ-১, এ ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ২ লাখ ৩৬ হজার ২৫০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ২৫ হাজার ১৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের জন্য রয়েছে ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন চাল। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে রোপা আমন চাষে এবার কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গত ৫ জুলাই থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। রোপা আমন চাষের জন্য উপজেলাভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টর, বিরল উপজেলায় ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, কাহারোল উপজেলায় ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর, বীরগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর, খানসামা উপজেলায় ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, পার্বতীপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৭৫০ হেক্টর, ফুলবাড়ী উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, বিরামপুর উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, হাকিমপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৫০ সেক্টর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হবে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্র অনুযায়ী জেলায় এবার বোরো চাল উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল। জেলায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াই ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কৃষকরা এখন তাদের জমিতে রোপা আমন চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছে। চলতি জুলাই মাসের প্রথম থেকেই জেলায় আগাম জাতের আমন ধান রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে কষকরা। কৃষি বিভাগ আরো জানায়, চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জন্য বিএডিসি বিভাগ পর্যাপ্ত পরিমাণ কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী রাসানিয়াক সার তাদের গুদামে আগাম মজুত রেখেছে। বিএডিসি তালিকাভুক্ত জেলায় ১২৬ জন রাসায়নিক সারের ডিলারদের গতকাল ১১ জুলাই এর মধ্যেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া, ডিওপি, টিএসপি এবং এমওপি সার সরবরাহ করা হয়েছে। প্রত্যেক ডিলারের অধীনে ৩ জন করে সাব ডিলার রয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে রাসায়নিক সারের কোনো ধরনের ঘাটতি না হয় এজন্য বাজারে সারের অবাধ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।