ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছাত্রদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল : ডিআইজি

ছাত্রদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল : ডিআইজি

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছেন, যে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে সেই ছাত্র আন্দোলন হাইজ্যাক করা হয়েছিল। যারা নাশকতাকারী, যারা রাষ্ট্রবিরোধী, যারা সরকার এবং রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়, রাষ্ট্রকে অচল করে দিতে চায় তারাই মূলত ছাত্র আন্দোলন হাইজ্যাক করেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনে ঘটা সহিংসতায় হওয়া ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এই নৈরাজ্য পরিস্থিতি যারা সৃষ্টি করেছিল তাদের মধ্যে কেউ ছাত্র ছিল। খবর পেয়েছি সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে দুটি রাজনৈতিক দল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা পুলিশের উদ্যোগে মহাসড়কে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সেই হকাররাও এই নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য জ্বালাও-পোড়াও কাজে অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, এই সম্মিলিত গোষ্ঠীর মূলত উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রকে অকার্যকর করা ও সরকারকে উচ্ছেদ করা। অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজটাই তারা করেছে। এর সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্ররা এসব জ্বালাও-পোড়াও করেনি। বাংলাদেশের কোথাও তারা জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুরে অংশ নেয়নি। ডিআইজি বলেন, সাভারে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেগুলো পরিদর্শন করতে আজ এখানে এসেছি। এখানে ২০টির ওপরে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো তছনছ করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পশু সম্পদ অফিস। পশু সম্পদ অফিস ভাঙচুর করে গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, সড়কে অনেকগুলো গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। পুলিশের যে স্থাপনা রয়েছে পুলিশ বক্স, ডিবি কার্যালয় তছনছ করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ বক্স একেবারে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। এছাড়া সিটি সেন্টারসহ শপিংমল, দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনদিন ধরে এই নৈরাজ্য চালিয়েছে তারা। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ বিশেষ করে নরসিংদী জেলায় জেল লুট করা হয়েছে। ৮২৬ জন কয়েদিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। জেলখানাতে যেসব দুর্ধর্ষ আসামি ছিল, যেমন একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি, মার্ডার মামলার আসামি এবং ৯ জন জঙ্গিসহ দুর্ধর্ষ আসামিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে। ৮ হাজার রাউন্ডের বেশি গুলি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা এই অস্ত্র গুলি পুলিশের বিপক্ষে দুই দিন ধরে ফায়ার করেছে। ওখানে একটা এপিসি আছে, এপিসির কয়েকটি জায়গা ছিদ্র হয়েছে এই অস্ত্রের দ্বারা। সুতরাং, এই কার্যকলাপগুলো জেলখানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট করে, সেই অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জ্বালিয়ে দেওয়া ভাঙচুর করা এই কাজগুলো কখনো ছাত্রদের হতে পারে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত