কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে গত ৭ দিন ধরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাত দিনে যাত্রীদের ফেরত দেয়া টিকিটের দামসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থাপনা ধ্বংসে ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেল ভবনে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্রেন না চলার কারণে টিকিট রিফান্ড করতে হচ্ছে। এটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি টিকিট রিফান্ড করা হয়েছে যাত্রীদের। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে রেলওয়ের মোট ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা। তিনি বলেন, সহিংসতায় হামলাকারীরা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটা কোচে আগুন দিয়েছে। এ ছাড়া সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসের বিভিন্ন কোচে হামলা করে ভাঙচুর করেছে। বিভিন্ন স্টেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, সিগন্যাল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে কয়েকটি জায়গায় ট্রেনে ও স্টেশনে রাখা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে হামলা করা হয়েছে। এই কারণে এখনো ট্রেন চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রেলের ইঞ্জিন ও কোচের সংখ্যা কম। তারপরও রেল সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখন এই মুহূর্তে ট্রেন পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই চলাচল করবে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।