সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম, অপরাধের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে ৬৪ জেলায় নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজের সমন্বয়ে যথাক্রমে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন নিষ্পত্তি করেন আবেদনের পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। আবেদনকারী নিষ্পত্তিতে সন্তুষ্ট না হলে আপিল করতে পারেন নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে। নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। আর আবেদনের পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করেন নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল। গত ৮ মে থেকে পাঁচ ধাপে দেশের উপজেলাগুলোয় ভোটগ্রহণ করে ইসি, যা ৯ জুন শেষ হয়। এতে দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে পাঁচ ধাপে ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। অবশিষ্ট উপজেলাগুলোয় আইনি জটিলতা থাকায় ও মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরে নির্বাচন হবে। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে যে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে ভোট বাতিলসহ নানা অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।