ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বন্যায় সিরাজগঞ্জে ক্ষতি ৬৫ কোটি টাকার ফসল

বন্যায় সিরাজগঞ্জে ক্ষতি ৬৫ কোটি টাকার ফসল

সিরাজগঞ্জে এবার নিম্নাঞ্চলে বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে পাট, তিল, কাউন, আউশ, আমন ধানের বীজতলাসহ প্রায় ৬৫ কোটি টাকার বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম থেকে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া যমুনার পানি বৃদ্ধি ও কমা শুরু থেকে বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। ওই ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং বহু পরিবার স্থানীয় ওয়াবদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। সেইসাথে বন্যায় নিম্নাঞ্চলের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। বন্যা ও নদী ভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়িতে উঠলেও অনেক পরিবার আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে বন্যায় প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হোসেন বলেন, প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি কমছে। নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে এবং ভাঙনও হ্রাস পেয়েছে। তবে বন্যার এখন কোনো পূর্বাভাস নেই। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা পাঠিয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী ওই ৫টি উপজেলার কৃষকদের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ তালিকা অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত