প্রসঙ্গ বেনজীর
দুদককে তিন মাস পর অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ অভিযোগ অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাস পর দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের অগ্রগতি বিষয়ে হলফনামা আকারে দুদকের দাখিল করা প্রতিবেদন গ্রহণ করে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানিয়ে দুই মাস পর হলফনামা আকারে দুদককে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হলফনামা আকারে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। পরবর্তী আদেশের জন্য ৫ নভেম্বর দিন রেখেছেন। এ সময়ের মধ্যে অনুসন্ধানের সর্বশেষ অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ হলো কি না, মামলা হয়েছে কি না এসব। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পত্তি অর্জনের বিষয়ে গত মার্চ ও এপ্রিলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ৪ এপ্রিল দুদকে আবেদন করেন আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন। পরে এ বিষয়ে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২১ এপ্রিল রিট করেন তিনি। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানিয়ে দুই মাস পর হলফনামা আকারে দুদককে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় হলফনামা আকারে গত রোববার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন দুদকের আইনজীবী।