ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ১৪ দিন পর চালু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ১৪ দিন পর চালু

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বন্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ১৪ দিন পর খুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো মাধ্যমগুলোর ওপর জারি করা সরকারি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমগুলো খুলে দেয়ার তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিআরসির পক্ষ থেকে যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়ে সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম, সার্বিক বিবেচনা করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়িক সম্প্রদায়, স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকদের কথা চিন্তা করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাচ্ছি, সেই বিধিনিষেধ আমরা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আমরা আর কোনো বাধা রাখছি না। সব অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের কারণে আমাদের ব্যান্ডউইথ ট্রাফিক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেটা নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি, অপরদিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতি। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। এরপর থেকেই দেশের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছিলেন না। পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকারভিত্তিতে কূটনীতিকপাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রপ্তানিমুখী খাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এই সেবা চালু হয়। পরে বাসাবাড়িতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। বন্ধের ১১ দিন পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেটও।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত