দেশের ফ্যাক্ট চেকিং ফার্মগুলো নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না এমন অভিযোগ তুলে- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ফেসবুকের হয়ে দেশে যেসকল ফ্যাক্ট চেকিং ফার্ম আছে সেগুলো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করত তাহলে কোটা আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে যেসব গুজব ও সংহিসতামূলক কনটেন্ট করা হয়েছে, সেগুলো অপসারণ করত। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবন মিলনায়তনে ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটকের সঙ্গে বৈঠক শেষে পলক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন আমাদের ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিক, পুলিশ, পথচারী সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। সেজন্য আমরা সরকারিভাবে শোক পালন করেছি। কোনো বেসরকারি সূত্রেও আমরা এরকম একটা অস্বাভাবিক সংখ্যা যেটা ‘সাইবার ৭১ উই হ্যাকড টু প্রটোকল প্রটেক্ট বাংলাদেশ এই নামে যে ফেসবুক পেজ থেকে ছড়াচ্ছে শহীদের সংখ্যা ৯০০-এর ?উপরে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আমার জানা মতে কোথাও মৃত্যুর সংখ্যা ৯০০ জন হয়েছে, সেটা আমি শুনিনি, দেখিনি। সাংবাদিক বন্ধুরা এই ফ্যাক্টটা চেক করতে পারেন। এই ধরনের ফ্যাক্ট চেক করে নাকি তাদের জন্য বাংলাদেশের বেশ কিছু ফ্যাক্ট চেকার। তারা তাদের নাম বলে নাই প্রাইভেসির জন্য। কিন্তু আমরা যেটুকু বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, বাংলাদেশে ফেসবুককে যে ফ্যাক্ট চেকিং ফার্ম হেল্প করে, যে লিগ্যাল ফার্ম হেল্প করে- তারা মোটিভেটেড। তাদের ব্যক্তিগত মতাদর্শ, কার্যক্রম, অবস্থান এবং তাদের বিভিন্ন পাবলিক স্টেটমেন্ট সেখানে দেখা গেছে তারা রাজনৈতিক সংগঠনের সমর্থক।
ফেসবুকের হয়ে কাজ করা দেশের ফ্যাক্টচেকিং ফার্মগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করছে অভিযোগ করে পলক বলেন, তাদের অতীত কর্মকাণ্ড, বর্তমান কর্মকাণ্ড সব কিছুই তারা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তাদের পূর্ব পুরুষ বা পরিবারের সদস্য বা আত্মীয় তাদের অনেক এনগেজমেন্ট পাওয়া যায়।
ফলে আমাদের অনুমান যে, এখানে ফ্যাক্ট চেকিং যে ফার্মগুলো আছে ফেসবুকের পক্ষ থেকে তারাও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। যদি করত, তবে এই সব কনটেন্ট কখনোই তারা রাখত না। তারা এগুলো অবশ্যই টেকডাউন করত, এসব পেজ, অ্যাকাউন্ট ব্লক করত।
পলক আরো বলেন, ফেসবুক তাদের পলিসি অনুযায়ী যেসব কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করে দেয়ার কথা, সেগুলো সাবলীলভাবে প্রচার করে যাচ্ছে।
সেসব কনটেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কেন তারা ব্যবস্থা নেয়নি, সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে।
