কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতার সব হত্যার ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়েছেন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকরা। তারা বলছেন, সরকারের কোনো তদন্তে তাদের আর আস্থা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন শিক্ষকরা। এর আগেরদিন গত বুধবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে হাইকোর্ট মাজার গেটে পুলিশের হেনস্থার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক। প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্ত হন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। সমাবেশে বক্তারা, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান। শিক্ষকদের বাসায়ও হামলার অভিযোগ জানিয়ে তারা অতি দ্রুত এসব বন্ধের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান শিক্ষকরা। আর শিক্ষার্থীরা কারাগারে থাকা অবস্থায় কোনো পাবলিক পরীক্ষা যেনো না নেয়া হয়, সেই দাবিও জানান তারা। সমাবেশে শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের নির্দেশেই কোটা আন্দোলন দমনের নামে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা। তাই, সরকার নয়, জাতিসংঘের অধীনে সব হত্যার তদন্ত হতে হবে।
শিক্ষকরা বলেছেন, হত্যার বিচার ও আটক শিক্ষার্থীসহ অন্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কারফিউ তুলে নিতে হবে। ব্লক রেইডের নামে গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। জঙ্গি সংগঠন হিসেবেই জামায়াত-শিবিরকে মোকাবিলা- প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের এই কর্মসূচি ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে ছিল পুলিশের কড়াকড়ি। অনেক শিক্ষককে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি চত্বর, রাজু স্মারক ভাস্কর্য ঘুরে শহীদ মিনারে শেষ হয় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের মিছিল। সেখানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।