সুসংবাদ প্রতিদিন
জয়পুরহাটে বস্তায় আদা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বস্তায় আদা চাষ করে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকরা। অতিরিক্ত আদা বাজারে বিক্রি করে সংসারে বাড়তি আয়ের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির আশপাশে পরিত্যক্ত স্থানগুলোতে সংসারের অতি প্রয়োজনীয় একটি মসলা হিসেবে চিহ্নিত আদা বস্তায় চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন সংসারে। ফলে বস্তায় আদা চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ওই উপজেলায়। পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের দরগাপাড়া গ্রামের কৃষক মাহমুদুল হাসান বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের মধ্যে পরিত্যক্ত স্থানে এবার ২২০ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের দেওয়া পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তায় বস্তায় ওই আদা চাষ করছেন বলে জানান মাহমুদুল। পরিত্যক্ত স্থানে মাহমুদুলের আদা চাষ দেখে পাশের অন্যান্য কৃষকরাও তাদের বাঁশঝাড়ের পরিত্যক্ত স্থানে আদা চাষ শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
মাহমুদুল হাসান জানান, প্রথমে তিনি মাটির সঙ্গে গোবর, বালু ও ফিউরাডন ভালোভাবে মিশিয়ে বস্তায় ভরে নিয়েছেন। প্রতি বস্তায় ৪টি করে অঙ্কুরিত আদার টুকরা করা কন্দ বপন করেন। এভাবে তিনি ২২০ বস্তায় অঙ্কুরিত আদার টুকরা বপন করেছেন। প্রতি বস্তা থেকে দুই কেজি করে আদা পেলে মোট ৪৪০ কেজি আদা পাওয়া যাবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে মন্তব্য করেন তিনি। অল্প সময়ের ফসল হিসেবে বেশ লাভজনক হওয়ায় আগামী বছর তিনি ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান মাহমুদুল হাসান।
পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চাষি আমানুল্লা খান এবার পুকুরপাড়ে ১০ বস্তায় পরিক্ষামূলকভাবে আদা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বলে জানান। পাঁচবিবি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার ৮ ইউনিয়নেই কম-বেশি বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার বস্তায় এবার পরীক্ষামূলকভাবে আদা চাষ করছেন কৃষকরা। এতে সময় লাগে ১০-১২ মাস। আবার বেশ লাভজনক হওয়ায় বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংসারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত আদা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব হচ্ছে বলেও জানান, উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান।