চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার বাসভবনের আঙিনায় থাকা দুটি প্রাইভেট কার ভাঙচুরের পর সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দুর্বৃত্তরা। তাছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের প্রবেশ গেটটি ভেঙে একটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।
একইভাবে চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর লালখান বাজারস্থ অফিসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরের চশমাহিলস্থ বাসভবনে এবং লালখান বাজার এলাকায় পৃথকভাবে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষামন্ত্রীর বাবা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম অনুসারে নগরের চশমাহিল এলাকাটি ‘মেয়র গলি’ হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে স্মরণকালে শিক্ষামন্ত্রীর ওই বাসভবনে হামলার নজির নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লালখান বাজার এলাকায় এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর অফিসে হামলার এর আগেও ঘটনা ঘটেছিল।
জানা গেছে, দুপুর থেকে নগরের নিউমার্কেট এলাকায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সন্ধ্যায় সেই কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে এক দল দুর্বৃত্ত মেয়র গলিতে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের প্রবেশ গেটটি ভেঙে ঢুকে পড়ে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আঙিনায় থাকা দুটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। এরমধ্যে একটি গাড়ি শিক্ষা মন্ত্রী নিজেই ব্যবহার করেন। ভাঙচুরের পর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গাড়ি ভাঙচুর শেষে মূল ভবনের একটি রুমেও হামলা চালানো হয়। রুমটি রাজনৈতিক মিটিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হতো বলে জানা গেছে। এ সময় ওই রুমে থাকা চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রীর সহকারী রাহুল দাশ বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মেয়র গলির সামনে দিয়ে একটি মিছিল যাচ্ছিল। সেই মিছিল থেকে বের হয়ে কিছু লোক এ হামলা চালিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের মদদে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, এ বিষয়ে খবর পেয়েছি। হামলায় কে বা কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।