মাত্র ২ ঘণ্টা আগেও যে গণভবনে ছিল প্রচণ্ড নিরাপত্তা সেখানে এখন ঢুকে পড়েছেন সাধারণ ছাত্র এবং জনতা। সেখানে থাকা যার যার পছন্দমতো সব জিনিস যে যেভাবে পারছেন নিয়ে নিচ্ছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবার এসব ছবি পোস্টও করছেন অনেকেই। এসব ছবিতে দেখা গেছে, গণভবনের রাজহাঁস, খরগোশ, কম্বল এবং বালিশ, সোফা, টেলিভিশনসহ যে যা পারছেন তাই নিয়ে যাচ্ছেন। ছবিতে দেখা যায় এক কিশোর হাতে একটি রাজহাঁস ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। আরেকজনের কোলে রয়েছে একটি খরগোশ। তিনি দেখাচ্ছেন বিজয় চিহ্ন। আরেকজন গায়ে জড়িয়েছেন গণভবনের কম্বল এবং হাতে নিয়েছেন বালিশ, কেউবা সংগ্রহ করেছেন শাড়ি। মূলত, সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহেনা দেশ ছেড়েছেন এমন খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই গণভবনে ছাত্র জনতার ঢল নামে। অনেককে দেখা গেছে গণভবনের পুকুরে গোসল করতে। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করেন হাজারো ছাত্রজনতা। শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার জনতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়েছেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের উল্লাস করতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেন। এ সময় ভেরতে আন্দোলনকারীদের লুটপাট ও ভাঙচুর করতে দেখা যায়। আওয়ামী সরকার পতনের পর ভুয়া ভুয়া স্লোগানে গণভবনে প্রবেশ করেছেন হাজারো ছাত্রজনতা। গণভবনের প্রতিটি আসবাব যেমন লেপ, কাঁথা, বালিশ ও চেয়ার থেকে শুরু করে যে যা পাচ্ছে ভাগ করে নিচ্ছেন। যে যা পারছেন নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার সরেজমিন গণভবনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, গণভবনের সভাকক্ষে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে উদ্যম নৃত্যে মেতেছেন বিক্ষোভকারী জনতা। আরেকদিকে ঘড়ি, রাউটার, কাগজ, কম্পিউটার, চেয়ার, সোফা, এসি, ফ্রিজ, দেয়ালিকা থেকে শুরু করে সবকিছু নিতে বের হচ্ছেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তবে, গণভবনের ফটকে কিছু বিক্ষোভকারী এসব মালামাল একত্রিত করছেন। জনসাধারণকে নিতে বাধা দিচ্ছিলেন তারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, এ সম্পদ আমাদের। আমরাই নিয়ে যাচ্ছি। আজ আপামর জনসাধারণের বিজয় দিবস।