সাতক্ষীরার জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা বন্দিদের একাংশ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। তবে কতজন ফিরেছেন, সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা সব আসামি ও কয়েদিকে বের করে নিয়ে যায়। সাতক্ষীরা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত কারাগারটিতে ৫৯৬ জন বন্দি ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকশ’ মানুষ সাতক্ষীরা কারাগারে পাঁচিলের ফটক টপকে ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে কারাগারের প্রথম ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে সেল ও সাধারণ ওয়ার্ড ভেঙে বন্দিদের বের করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, প্রথম ফটকটি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। সেখানে এক ব্যক্তি সাদা পোশাকে দাঁড়িয়ে আছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, সকাল থেকে অনেক আসামি ও কয়েদি ফিরতে শুরু করেছেন। এরইমধ্যে প্রায় ২০০ আসামি ও কয়েদি ফিরে এসেছেন। গতকাল হামলার সময় টিকিট কাউন্টার, ক্যানটিন, ওয়াচটাওয়ার ও বিভিন্ন ভবনের জানালা ভাঙচুর করা হয়। দুটি মোটরসাইকেল পোড়ানো অবস্থায় কারাগারের বাইরের চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া কারাগুদামও খালি। এর চাল, ডাল ও অন্যান্য খাবার সব লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আসামি জানান, কারাগারের তালা ভেঙে তাদের বের হয়ে যেতে বলেন কিছু মানুষ। তখন তিনিও কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা কারাগার থেকে সব আসামি বের হয়ে গেছেন। মঙ্গলবার সকালে শুনেছেন কিছু আসামি ও কয়েদি ফিরে এসেছেন। তবে কতজন ফিরে এসেছেন, তা তিনি পরে বলতে পারবেন বলে জানান।