ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কারখানা খুললেও ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা

কারখানা খুললেও ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা

গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর কারখানা খুললেও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি একে আজাদ বলেছেন, সবচেয়ে বেশি কারখানা ঢাকার আশুলিয়ায়। সেখানে নিরাপত্তার অভাব হওয়ায় কারখানা খোলার সাহস করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন একে আজাদ। তিনি বলেন, ক্রেতারা প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি দেখছেন, আমাদের কাছে পণ্য চাচ্ছেন। আমরা নিরাপদ পরিবেশ চাই। পুলিশ না থাকায় কারখানা ও তার আশপাশের এলাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করছি। কোটা সংস্কার থেকে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী সরকারের পতনের পর বুধবার থেকে সারা দেশের কলকারখানা পুরোদমে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। এর আগে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৯ জুলাই মধ্য রাত থেকে কারফিউ ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। চার দিন পর ২৪ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা সারা দেশে কলকারখানা চালু করা হয়। পরবর্তীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের গণআন্দোলনে রূপ নিলে ৪ আগস্ট রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসে। পরদিন ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর বুধবার থেকে ফের পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণা দেয় বিজিএমইএ। তবে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বিভিন্ন থানা, স্থাপনায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের খবর এসেছে। বেশিরভাগ থানায় পুলিশ নেই। রাস্তায় নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নেই। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা খোলার ঘোষণা থাকলেও নিরাপত্তা সংকটের কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

আইসিসি সভাপতি একে আজাদ বলেন, আমরা সেনাবাহিনী প্রধানের কাছে অনুরোধ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার নিরাপত্তার জন্য চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএসকে) দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা তাকে (সিজিএসকে) অনুরোধ করব, তিনি যদি আমাদের সঙ্গে বসেন, আলাপ-আলোচনা করে অতি দ্রুত আমরা কারখানাগুলো চালু করতে পারব।

পলমল গ্রুপের এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, তাদের গাজীপুরের সব ইউনিট পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছে সকাল থেকে। নারায়ণগঞ্জের ইউনিট বুধবার বিকাল পর্যন্ত খোলেনি। গাজীপুরের মৌচাকের সাদমা ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, গাজীপুরে সেনাবাহিনী নেমেছে, কারখানা সচল আছে। আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম এলাকার কিছু কারখানা এখনো চালু হয়নি। সেখানেও সেনাবাহিনী নেমেছে দুপুরের পরে। আশা করছি সন্ধ্যা থেকে কিছু ও আজ সকাল থেকে বাকিরা কারখানা চালু করতে পারবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত