প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন : মান্না

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। গত শুক্রবার গুলশানে দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে তার বাসভবনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নেতারা আলোচনা করেন। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছে। ছাত্রদের নেতৃত্বে সারা দেশের সব শ্রেণি, পেশার মানুষ যেভাবে এই অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত হয়েছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এই অভ্যুত্থান হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের সুবিধাভোগী গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের জনগণ নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। অভ্যুত্থান, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা ছিল এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির যে অবনতি ঘটেছে, তা অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গত ১৬ বছরে দেশের সব সাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। এই সব প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠিত করা নতুন সরকারের প্রথম কাজ। বিচার বিভাগকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, নির্বাচন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে জনগণের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি দমন, বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত সব অপরাধের বিচার এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার পর অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবে। তিনি বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশের জনগণ জীবন দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে, সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে। রাষ্ট্রের গঠনমূলক সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে সহযোগিতা করবে নাগরিক ঐক্য।