অন্যরকম

সুন্দরীর মাথার দাম ৫৯ কোটি টাকা!

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

শত শত কোটি টাকা হাতিয়েছেন প্রতারণা করে। তাকে ধরতে সাত বছর ধরে পিছু নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। কিন্তু তারপরও তিনি রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ‘ক্রিপ্টো কুইনের’ খেতাব পাওয়া এই নারী এতটাই আলোড়ন তুলেছেন যে, তাকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই। এর আগেও পুরস্কার ঘোষণা করেছিল মার্কিন সংস্থাটি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। শেষবার ২০১৭ সালে তাকে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল। এরপর আর তার হদিস মেলেনি। তাই এবার তাকে ধরতে পুরস্কারের পরিমাণ আরো বাড়িয়েছে এফবিআই। বিবিসি জানিয়েছে, সাত বছর ধরে বিভিন্ন দেশের পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন কিন্তু রুজা ইগনাতোভা। এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে থাকলেও এখনো তার নাগাল পায়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষ। রূপবতী এই নারীকে ধরতে তাই দুই দুইবার পুরস্কার ঘোষণা করেছে এফবিআই। প্রতারণা করে ৪০০ কোটি ডলার বা ৪৭ হাজার ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বুলগেরিয়ার এই নারী। রূপের জালে মোহিত করে ক্লায়েন্টদের মূল্যহীন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করাতেন রুজা। আর এভাবেই হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এখন রুজাকে ধরতে তার মাথার মূল্য ৫০ লাখ ডলার নির্ধারণ করেছে মার্কিন পুলিশ।

এফবিআই জানিয়েছে, রুজা হয়তো জার্মানির পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বুলগেরিয়া, জার্মানি, রাশিয়া, গ্রিস বা পূর্ব ইউরোপের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে সশস্ত্র গার্ড বা সহযোগী রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়। এফবিআই আরো বলেছে, নিজের আসল চেহারা লুকাতে প্লাস্টিক সার্জারিও করে থাকতে পারেন রুজা। ৪৪ বছর বয়সি রুজা ইংরেজি, জার্মান ও বুলগেরিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারেন। ওয়ানকয়েন নামে একটি কোম্পানি খুলে ব্যবসার ফাঁদ পেতে ছিলেন রুজা। বুলগেরিয়াভিত্তিক এই কোম্পানির মাধ্যমেই কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। অন্যের পকেট কেটে লন্ডনে পেন্টহাউস কিনেছিলেন রুজা। ৭০ লাখ ডলারের বেশি দিয়ে ‘ডাবিনা’ নামে একটি প্রমোদতরীও কিনেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর বুলগেরিয়া থেকে গ্রিসের উদ্দেশে রওনা করেন রুজা। এরপর যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যান এই সুন্দরী রমণী। ২০২২ সালের জুন মাসে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রুজার নাম ওঠায় এফবিআই। তখন তাকে ধরতে আড়াই লাখ ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করে তারা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা রুজার এক সহযোগী সুইডিশ নাগরিক কার্ল গ্রিনউড খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে গেল বছর মার্কিন এক আদালতে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু চতুর রুজা এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।