আদালতে কোনো সিন্ডিকেট চলবে না

বললেন নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আদালত অঙ্গনে কোনো সিন্ডিকেট চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন তিনি প্রথম অফিস করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাইকোর্টে কোনো হস্তক্ষেপ হবে, এটা আমি চিন্তাও করি না। সিন্ডিকেট কেউ করে থাকলে আমাদের জানাবেন। জানানো মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যার কোনো সিন্ডিকেট করবেন, এটা তার শত্রুও বিশ্বাস করবে না।’ রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি মাননীয় প্রধান বিচারপতি অতিদ্রুত দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এই জায়গাটিকে উন্নত করবেন। অনেক ডেপুটি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। অনেক রুম তালা লাগানো আছে, এই ক্ষেত্রে কী করবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করব।

বিচারাঙ্গনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটাই হলো অনিয়মের বিরুদ্ধে। এই সব অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। আশা করি মানুষের সেই আশার আলোয় প্রভাবিত হয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাইকোর্ট বিভাগ ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন মনে করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই মনে করি। যে কারণে জনরোষ তৈরি হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগে কেন হবে না। প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি অক্সফোর্ট গ্রাজুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম ক্লাস। তিনি পিএইচডি করেছেন। ওনার লেখাপড়া, শিক্ষাদীক্ষা, চলনে বলনে কোনো কিছু কোট করার মতো কিছু পাবেন না। আপনারা সাংবাদিক। আপনারা জনগণের ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করবেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, ওনার (নতুন প্রধান বিচারপতি) নানা ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম বিচারপতি, বিচারপতি মো. ইব্রাহিম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ছিলেন। তার বাবা সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ দেশের একজন প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ছিলেন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার মা সুফিয়া আহমেদ দেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক, ভাষা সংগ্রামী, একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারপারসন ছিলেন।