ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতিবেদন প্রকাশ

ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন পলক

ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন পলক

কোটা সংস্কার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার সঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন কমিটি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পলকের নির্দেশনায় মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়। পরে জুনাইদ আহমেদ পলক মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের জন্য বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত রোববার প্রথম কার্যদিবসে সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উঠে আসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি। ইন্টারনেট বন্ধের পেছনের তথ্য বের করতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন নাহিদ ইসলাম।

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন সংক্রান্ত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, বর্ণিত সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সাথে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সাথে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত