শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো ফুসফুস। বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে আবার শরীরে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইডকে বের করে দিতে সাহায্য করে অঙ্গটি। তবে আজকাল বায়ু দূষণ ও অত্যধিক ধূমপানের কারণে এ অঙ্গের ক্ষতি হয়। ফলে অ্যাজমা, সিওপিডি থেকে শুরু করে একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই বিপদ ঘটার আগেই সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে কয়েকটি ফল আছে, যা খেয়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে পারেন।
কলা : সাধ্যের মধ্যেই পেয়ে যাবেন এই ফল। এর পুষ্টিগুণ অনেক। এতে থাকা পটাশিয়াম ও ফাইবার ফুসফুসের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। যার ফলে কলা খেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি কমে। শুধু তাই নয়, এই ফল নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকে পেট। একই সঙ্গে শরীরে এনার্জির ঘাটতিও পূরণ হয় সহজেই।
আপেল : প্রতিদিন একটি আপেল খেলে একাধিক রোগের ফাঁদ অনায়াসে এড়িয়ে চলা সম্ভব। কারণ এতে আছে উপকারী সব ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আর এসব উপাদান সরাসরি স্বাস্থ্যের হাল ফেরায়। শুধু তাই নয়, এতে থাকা কুয়েরসেটিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়।
আনারস- ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণ উপকারী হলো আনারস। এই ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি ও খনিজ উপাদান ফুসফুসের স্বাস্থ্য ফেরাতে পারে। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ভিটামিনের গুণে বাড়ে ইমিউনিটি। সুস্থ থাকে দেহের একাধিক অঙ্গ।
অ্যাভোকাডো : অ্যাভোকাডো খুবই উপকারী এক ফল। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার এটি। আর এই উপাদান শরীরে প্রদাহ কমায়। যার ফলে বাড়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা। কাছে ঘেঁষতে পারে না শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা। এছাড়া এই ফলে উপকারী সব ভিটামিন ও খনিজ দিয়ে পরিপূর্ণ। এ কারণেই অ্যাভোকাডো খেলে দেহের পুষ্টির ঘাটতি অনেকটাই মিটে যায়।
আঙুর : আঙুর ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এই অঙ্গ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। ফলে ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করতে পারে। তাই আপনি চাইলে নির্দিষ্ট পরিমাণে এই ফল নিয়মিত খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা আবার এই ফল প্রতিদিন খাবেন না।