বকেয়া বেতন পরিশোধসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন গ্রামপুলিশ সদস্যরা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বেতন বৈষম্যবিরোধী গ্রামপুলিশ সমন্বয় কমিটি’ আয়োজিত সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালের জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন এবং ২০১১ সালে জাতীয়করণের গেজেট থাকার পরও গেজেট অনুযায়ী বেতন না দিয়ে গ্রামপুলিশ সদস্যদের ৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং দফাদারদের ৭ হাজার টাকা বেতন দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীরা শুধু তার নিজ দপ্তরে ৮ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এই নামমাত্র বেতনে গ্রামপুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টা ইউনিয়ন পরিষদ পাহারা, আসামি ধরা, মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশকে সহায়তাসহ উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে সব দপ্তরের কাজে নিয়োজিত থাকে। তবে নামমাত্র বেতন দিয়ে সংসারের খরচ বহন করতে না পেরে আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। গ্রামপুলিশ সদস্যদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরে যাবো না। এ সময় নিজেদের চার দফা দাবি তুলে ধরে কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী লাল মিয়া। দাবিগুলো হলো- সাত দিনের মধ্যে গ্রামপুলিশ সদস্যদের পুলিশ কনস্টেবল সমগ্রেড এবং দফাদারদের এসআই সমগ্রেড নির্ধারণ করতে হবে; পুলিশ সদস্যদের মতো রেশন, পেনশনসহ সব সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামপুলিশ সদস্যদের পরিচালিত করতে হবে এবং ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন ও ২০১১ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে সব বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। সমাবেশে আরো ছিলেন- সমন্বয়কারী মো. আরশেদ আলী, কৃষ্ণধন চৌধুরী, মো. রিন্টু মিয়া, মো. সুমন, মো. ইমরানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামপুলিশ সদস্য।