বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির অর্থনৈতিক সংস্কার ধীর করে দিচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব"হত্তম ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংস। সংস্থাটি বলেছে, এরই মধ্যে দেশটির ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে।
শিার্থী-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে টিকতে না পেরে গত ৫ জুলাই দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন ৩ শতাধিক মানুষ এবং আহত হয়েছেন হাজারেরও অধিক। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের মূল দায়িত্ব আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা এবং নির্বাচনের আয়োজন করা। কিš' সরকার মতাগ্রহণের পর থেকে একে একে পদত্যাগ করছেন বিগত সরকারের আমালে নিয়োগপ্রাপ্ত শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংসের মতে একের পর এক কর্মকর্তাদের পদত্যাগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।
সংস্থাটির বিশ্লেষক শিনয় ভারগেসি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঝুঁকিই দেশটির অর্থনৈতিক সংস্কারকে ধীরগতির করে দেবে। এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে ব্যাংকিং খাত দুর্বল হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিগত সরকারের আমলে যেসব ঋণ নেয়া হয়েছিল, সেগুলোর কিস্তি পরিশোধ করা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের জন্য ব্যাপক কঠিন হবে বলেও মতামত দিয়েছে এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংস।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি জানিয়েছে, বর্তমানে যে ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, তার জন্য দায়ী দেশটির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে এই ঝুঁকিও আর থাকবে না।