গ্রীষ্মকালে গরম আবহাওয়ার কারণে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। শারীরিক বিপাক ক্রিয়া বজায় রাখা, হাইড্রেটেড থাকতে এবং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য পানি প্রয়োজন। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। জানুন পানি পানের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে।
ঘুম থেকে ওঠার পর? : লম্বা সময় ঘুমের পর শরীর স্বাভাবিকভাবেই ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এ কারণে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে এক গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এতে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
খাবার খাওয়ার আগে? : খাবারের আগে পানি পান ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার ক্ষেত্রে কার্যকরী। এছাড়াও খাবারের আগে পরিমিত পরিমাণে পানি পান স্বাস্থ্যকর হজমক্রিয়া এবং পুষ্টির শোষণকে ত্বরান্বিত করে।
ব্যায়ামের আগে? : ডিহাইড্রেশন এড়াতে এবং কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যায়ামের আগে হাইড্রেটেড থাকা অপরিহার্য। ব্যায়ামের সময় ভালোভাবে হাইড্রেটেড থাকার জন্য কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে পরিমিত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন।
ব্যায়ামের সময়? : দীর্ঘসময় ব্যায়াম করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম নিঃসৃত হয়। ফলে শরীর অল্প সময়ে ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে প্রতি ১৫-২০ মিনিট অন্তর পানি পান করা জরুরি। ব্যায়ামের পর? : ব্যায়াম করার আগে এবং মধ্যবর্তী সময়ে যেমন পানি পান করা জরুরি। একিভাবে ব্যায়ামের পরে শরীর হাইড্রেট করার জন্য পানি পান গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের পর পানি পান পেশিগুলো পুনরায় হাইড্রেট করতে সহায়তা করে।
ঘুমানোর আগে? : ঘুমানোর আগে পানি পান রাতের ডিহাইড্রেশন এড়াতে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। তবে, ঘুমানোর ঠিক আগে আপনি কতটা তরল পান করছেন তা লক্ষ্য করুন। কেননা শরীরে অতিরিক্ত তরল জমা হলে ঘন ঘন বাথরুমের বিরতি ঘুমকে বিঘ্নিত করে। এই নির্দিষ্ট সময় ছাড়াও সারা দিনে যখনই শরীর পানির চাহিদা অনুভব করবে তখনই পানি পান করা।