বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ও আশপাশের এলাকা থেকে অন্তত ২৫ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাদের আটক করে ধানমন্ডি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। পরে তাদের ১৫ জনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করছে অনেক লোকজন। তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে আমাদের কাছে দিয়েছে। তাদের মারধর করা হয়েছে। এখন তাদের চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক যাচাই শেষে তাদের অনেককেই পরিবারের জিম্মায় দিয়েছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত প্রায় ১৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে থানা থেকে এবং বাকিরা এখনও থানায় আছে।’
এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় শোক জানাতে আসা কাউকে দেখলেই তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, এখানে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ‘কোথায় যাচ্ছেন, কেন এসেছেন’ এসব জিজ্ঞেস করে দেখা হচ্ছে পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন। ৩২ নম্বর সড়কে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই এলাকায় কাউকে ধাওয়া দিতে ও কাউকে মারধর করতেও দেখা গেছে। ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করায় অনেক সাংবাদিককে বাধা দেওয়া ও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় এসবের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি। এখনও যদি আমরা একই কাজ করি, সেটা ভালো লক্ষণ নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দিতে হবে।’
সমন্বয়ক হাসনাত ছাত্র-জনতাসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের মুক্তভাবে কাজ করতে দিন। তাদের কাজে বাধা দেবেন না।’
