রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার
দু’দল কয়েদির সংঘর্ষে নিহত ১ আহত অর্ধশতাধিক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর ব্যুরো
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দু’দল কয়েদির সংর্ঘষে রফিকুল নামে এক কয়েদির লাঠির আঘাতে বাহারুল বাদশা নামে অপর এক কয়েদির নিহত হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পুলিশ, কারাগার এবং জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে কয়েদি রফিকুল এবং বাহারুল বাদশার মধ্যে আমরা গাছের ফল খাওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েদিদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েদি রফিকুলের লাঠির আঘাতে বাহারুল বাদশা নামে কারাবন্দী একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা গুলি ছুঁড়েন। খবর পেয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান এবং রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষুব্ধ কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাহাদুর মিয়ার ছেলে বাহারুল রংপুর কারাগারে কারাবন্দি ছিলেন। সকালে সংঘর্ষে বাহারুল বাদশা আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র কয়েদিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কারাগারের ভেতরে উত্তেজনা শুরু হলে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ফাকাঁ গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শাহজাহান ও মোত্তালেব নামে দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এলাকার স্থানীয় জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং কারাগারের সামনের রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে যান বাহন চলাচল কিছু সময়ের জন্য হয়ে যায়।
এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান কারাগারে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।