ভিটামিন ডি’র ঘাটতি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভিটামিন ডি’র প্রধান কাজ শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া ভিটামিন ডি’র আরো কিছু উপকারিতা আছে। শরীরে যদি ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি থাকে তাহলে আস্তে আস্তে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যাকে অস্টিওপরোসিস রোগও বলা হয়। শরীরে সকালের রোদ না লাগায় ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থেকে যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থেকে শরীরকে রক্ষা করার উপায়গুলো সম্পর্কে-

শরীরে রোদ লাগানো : পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণের সর্বোত্তম উপায় হলো শরীরে সূর্যের আলো লাগানো। যাকে ‘সানশাইন ভিটামিন’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ভিটামিন-ডি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার পর ত্বকে সংশ্লেষিত হয়। সুতরাং, রোদে বের হওয়া ভিটামিন-ডি’র মাত্রা বাড়ানোর সবচেয়ে প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। যখন ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে, তখন এটি ভিটামিন-ডি৩ সংশ্লেষিত করে। ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে কাটালে আপনার দেহে ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি অনেকটাই কমে যাবে।

ভিটামিন-ডি গ্রহণ : আপনার শরীরে যদি সূর্যের আলো লাগানো সম্ভব না হয় বা ডিম খেতে না পারেন তাহলে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। ভিটামিন-ডি সম্পূরকগুলো বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়, যেমন ভিটামিন ডি-২ এবং ডি-৩ ট্যাবলেট বা পাউডার। এগুলো মুখে খেলে শীতকালে ভিটামিন-ডি’র মাত্রা বাড়বে। তবে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিটামিন ডিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ : ভিটামিন-ডি বাড়ানোর অন্যতম ভালো উপায় হলো ভিটামিন ডিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। ভিটামিন ডি’র চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস হলো স্যামন, ম্যাকেরেল ও টুনার মতো চর্বিযুক্ত মাছ। এ ছাড়াও ফোর্টিফাইড দুধ, কমলালেবুর রস এবং দইয়ের মতো শক্তিশালী খাবারও আপনার দেহে ভিটামিন ডি’র চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ভিটামিন-ডিসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ালে তা শরীরের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ করে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, ভিটামিন ডি’র সেরা খাদ্যের উৎস হলো স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনসহ তৈলাক্ত মাছ।