জুলুম করলে কী পরিণতি ভোগ করতে হয় তার বড় উদাহরণ আওয়ামী লীগ। এ থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য নিজ দলসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আগামীতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন, তারা যেন জুলুমের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হন। একই রাস্তা যেন তারা অনুসরণ না করেন। এখান থেকে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র-জনতার সঙ্গে কথা বলেন, চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন। চিকিৎসা সহায়তায় হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মো. সেলিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জামায়াত আমির আহতদের খোঁজখবর নিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দেখতে এসেছিলাম। প্রত্যেক আহতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে খুশি হতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি, কারণ তাতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, এখানে আমার পাশে একজনকে দেখতে পারছেন তার হাত দুটো বুলেটের আঘাতে ভেঙে গেছে। কতো সময় লাগবে সুস্থ হতে জানি না। আমরা আজকে অনেককে দেখলাম... অনেকের হাত-পা কাটা হয়ে গেছে। তারা আর এসব ফিরে পাবেন না। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদার জন্য দোয়া করছি।
আমি আহতদের কাছে জানতে চেয়েছি, তাদের এখন অনুভূতি কী? তারা সবাই বলেছেন তারা, সুখী আনন্দিত। জাতির নাজাতের জন্য আল্লাহ সুযোগ করে দিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন এক হাত গেছে, এক পা গেছে, আবার যদি প্রয়োজন হয, বাকি হাত-পা দিয়ে দিবো। তবুও পরিবর্তনে অঙ্গীকার তাদের। মানুষ যখন এভাবে দাঁড়িয়ে যায়, তখন সেই জাতিকে কেউ আর দাবায়ে রাখতে পারে না।
বর্তমানে যে পরিবর্তন এসেছে তা যেন প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য স্বস্তির হয়, সম্মান মর্যাদা এনে দেয়। আমরা যেন দেশের ভেতরে ও বাইরে যেন মর্যাদার সঙ্গে বলতে পারি, আমি বাংলাদেশি।