দেশের অন্য জেলার ন্যয় চাঁদপুরেও গত কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে গত রোববার দিনগত রাত থেকে গত সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বৃষ্টিপাতের এই তথ্য জানান চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব। গতকাল ভোর থেকেই টানা বৃষ্টিপাত হয় সকাল ১০টা পর্যন্ত। এরপর থেমে আবারো বৃষ্টি। যে কারণে শহরের অধিকাংশ সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে শহরের মাদ্রাসা রোড, নাজির পাড়া, পালপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা ও ট্রাকরোডে পানি উঠে যায়। মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা সাজ্জাদ রহমান বলেন, টানা বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। যে কারণে বৃষ্টির পানি বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে চরম খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শহরের মধ্যে অপরিকল্পিত বাড়ি ঘর তৈরি হওয়া এবং জলাশয়গুলো ভরাট করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের মিশন রোড এলাকার শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম ও রবিউল জানান, সড়ক সংস্কারের কাজ করি। বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ। আমাদের কাজ না থাকলে সংসার চলে না। কি আর করা, বৃষ্টির সঙ্গে কারো হাত নেই। ট্রাক রোডের বাসিন্দা আবদুল বারেক বলেন, এই এলাকার সংযুক্ত আবাসিক সড়কগুলো বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। লোকজন ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এরপর গত ১ বছর ট্রাকরোড সংস্কার না হওয়ায় খুবই দুর্ভোগে আছে এলাকার লোকজন। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে একই এলাকার লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, গত রোববার দিনগত রাত ১২টা থেকে গত সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।