বেরোবির আবু সাঈদ হত্যা

তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সদস্যসহ কর্মকর্তার পদত্যাগে অচল হয়ে পড়েছে

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, হলপ্রভোস্ট, আবু সাঈদ হত্যার তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সদস্যসহ সব কর্মকর্তা পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিকসহ অন্যান্য সব কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। কবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে এবং পাঠদান শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার থাকলেও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তিনি পুরোপুরি হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদকে হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরীফুল ইসলামসহ পুরো প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করে। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ পদত্যাগ করলে একে একে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৯ জন কর্মকর্তাই পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে রয়েছেন হলপ্রভোস্ট অধ্যাপক বিজয় মোহন চাকি, পরিবহন পুলের পরিচালক ড. কামরুজ্জামান, পরিচালক গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক গাজী মাযহারুল আনোয়ার, প্রভোস্ট মীর তামান্না সিদ্দিকা, তিন হলের সব কো-প্রভোস্ট, তিন সহকারী প্রক্টর সাইফুল ইসলাম, ড. সাজ্জাদ হোসেন পাটোয়ারী, ছাত্র পরামর্শক সৈয়দ আনোয়ারুল আজীম, সব হলের কো-প্রভোস্ট, ট্রেজারার অধ্যাপক মজিব উদ্দিন আহাম্মেদ। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অচল হয়ে পড়েছে। কোটা আন্দোলনে বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্দোলনকারী সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর অনাস্থা পোষণ করায় কমিটির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা। কমিটির পদত্যাগ করা সদস্যরা হলেন- কমিটির আহ্বায়ক ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান, সদস্য সচিব ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান এবং সদস্য ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেরোবির কয়েকজন সমন্বয়ক ও কিছু শিক্ষার্থী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের প্রতি অনাস্থা পোষণ করেন। এ কারণে তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা পদত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, যেহেতু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আমাদের কমিটির ওপর অনাস্থা পোষণ করেছেন, তাই আমরা দায়িত্ব পালন করতে আর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না। এজন্য আমরা পদত্যাগ করেছি।

এ বিষয়ে বেরোবির তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপাচার্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় অচল। প্রশাসনিক নির্দেশনা তিনি ছাড়া আর কারো দেয়ার এখতিয়ার নেই। এখন আমাদের যত দ্রুত সম্ভব উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে।