বিক্ষোভ ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষাগুলো বাতিল করার সিদ্ধান্তকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তবে তিনি ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। গত ৩০ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বাকি পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়। অবশেষে, ছাত্রদের বিক্ষোভের জেরে গত মঙ্গলবার সরকার বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেয়। ঢাকার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ বিষয়ে জানান, ‘বাকি পরীক্ষাগুলো আর হবে না। ফলাফল কীভাবে দেয়া হবে, তা পরে জানানো হবে।’ গতকাল বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া আমার একার দায়িত্ব নয়। বোর্ডগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের বিষয়টি আমি এখনো পুরোপুরি চিন্তা করিনি। তবে বোর্ডগুলো এক্সপার্টদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, যিনি একে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিজেরা যাচাই-বাছাই করতে পারে। এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো না হওয়ায় সেই সুযোগ এখনো রয়ে গেছে।’ এদিকে, ক্ষমতার পালাবদলের পর বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, নতুন উপাচার্য নিয়োগের কাজ চলছে, যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব ও প্রশাসনিক দক্ষতার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে, তা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেন। পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর ক্ষেত্রে এবার কোনো দুর্নীতি হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। ‘এরইমধ্যে যেসব বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তা বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তিনি বলেন- এবার বই ছাপার মান ও কাগজের মান ভালো হবে, কারণ এবার কোনো দুর্নীতি হবে না।’