আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্প তথা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের জনবলকে রাজস্ব আনতে সংশ্লিষ্টরা দুদিন ধরে কর্মবিরতি রেখেছে। ফলে সারা দেশে এনআইডি সেবা কার্যত বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী রোববার সেবা কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশ থেকে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী রোববার তাদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এক্ষেত্রে সেদিন থেকে এনআইডি সেবা পুরোদমে চালু হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা আজ ঢাকায় সেবা দিয়েছি। তবে জেলা ও উপজেলা থেকে আমাদের লোকবল কর্মসূচির জন্য ঢাকায় চলে আসায় স্থানীয় পর্যায়ে এ এনআইডি সংক্রান্ত অনেক সেবা মিলছে না।
গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে আন্দোলনের ডাক দিয়ে এনআইডির সব জনবল বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকায় চলে আসে। এতে সেদিন সাময়িক অসুবিধা হলেও বৃহস্পতিবার প্রায় সব সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে আন্দোলনকারীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পাওয়ার সাপেক্ষে কর্মসূচি থেকে সরে আসার চিন্তা-ভাবনাও চলছে। এনআইডি অনুবিভাগ ইসি থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নেয়ার জন্য স্বতন্ত্র একটি আইন প্রণয়ন করে সরকার। তবে সেখানে বলা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যক্রম না নেবে ততদিন পর্যন্ত তা ইসির অধীনেই থাকবে।
সরকার আইনটি করার সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এনআইডি সরবরাহ করা হয়, সেহেতু ইসির অধীনে এ কার্যক্রম থাকাই নিরাপদ। এছাড়া ইসির এ কার্যক্রমের জন্য রয়েছে দেড় যুগের দক্ষতা, অবকাঠামো। নতুন করে অন্য কোনো দপ্তরের অধীন নিলে নতুন করে লোকবল, অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এতে রাষ্ট্রের ব্যয় ও নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়বে। অন্যদিকে এনআইডি কর্মরতদের অনেকের চাকরিজীবন কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। তাই তাদের প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে না নেয়াটা অমানবিক মনে করছেন অনেকে।