ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংক খাতের নানান অনিয়ম, দুর্নীতি আর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপ এবং সালমান এফ রহমান। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঋণের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জনতা ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় ২৫ হাজার কোটি টাকা। মানা হয়নি একক ঋণগ্রহিতার সীমাও। বিপুল অর্থ করায়ত্তে আনতে এক মাসেই ৮টি নতুন কোম্পানি খোলা হয়। বাধা না দিয়ে উল্টো অনিয়মে সহায়তা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সালমান এফ রহমান ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা হন। ওই বছর তাকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা করা হয়। এছাড়া ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত দু’টি জাতীয় নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।