মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলায় প্রান্তিক ১০০০ কৃষক ও কৃষাণী পচ্ছেন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ ও সার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, খরিপ-২ মৌসুমে মাসকলাই উৎপাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৬০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৫০ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ২২৫ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৪০ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১২৫ জন কৃষক প্রণোদনার বীজ-সার পাচ্ছেন। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি করে মাসকলাই বীজ, ৫ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার বিনামূল্যে দেয়া হবে। সেই হিসেবে ৫ হাজার কেজি মাসকলাই বীজ, ৫ হাজার কেজি এমওপি সার ও ১০ হাজার কেজি ডিএপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এসব সার বীজ বিতরণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। দ্রুত প্রণোদনার এসব বীজ-সার বিতরণ শুরু করা সম্ভব হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার এসব বীজ সার প্রান্তিক কৃষক ও কৃষাণীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এগুলো দিয়ে কৃষক ১০০০ হাজার বিঘা জমিতে মাসকলাইয়ের আবাদ করবেন। এতে জেলায় মাসকলাইয়ের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। গত বছর জেলার ৭৫০ জন কৃষক ও কৃষাণীর মাঝে প্রণোদনার মাসকলাইয়ের বীজ সার বিতরণ করা হয়েছিল। এ বছর ২৫০ জনকে বাড়িয়ে ১০০০ কৃষক ও কৃষাণীর মাঝে মাসকলাইয়ের প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় গত বছর ১৮০ জন কৃষক ও কৃষাণীর মধ্যে প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ করা হয়। এ বছর ২৬০ জন কৃষক ও কৃষাণী প্রণোদনার বীজ-সার পাবেন। গত বছর কৃষক প্রণোদনার বীজ সার দিয়ে ১৮০ বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষাবাদ করেছিলেন । এ বছর তারা ২৬০ বিঘা জমিতে মাস কলাইয়ের আবাদ করতে পারবেন। এতে এ উপজেলায় ৮০ বিঘা জমিতে মাসকলাইয়ের আবাদ বাড়বে। আমার সেভাবেই প্রান্তিক কৃষক নির্বাচন করে প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ করব।