গত শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার, স্থলপথ ও স্পিডবোটের মাধ্যমে সর্বমোট ১২,৬১৫ প্যাকেট ত্রাণ বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করে। পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে ৬টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের গতিকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ১৬টি স্পিডবোট সংযোজন করা হয়েছে। গত শনিবার ২১টি হেলি সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৯ জন রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর ৫টি হেলিকপ্টার (দুটি এমআই, দুটি বেল ও একটি ডওফিন), বিজিবির একটি এমআই হেলিকপ্টার এবং র্যাবের দুটি বেল হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আনম্যান্ড কম্ব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউসিএভি) এর মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের অবস্থান চিহ্নিত করে ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ সেলের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়পূর্বক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলের উপযোগী রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম হতে দুটি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে।