হাড় মজবুত করবে যে খাবার

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

হাড় ভালো রাখার জন্য যে আলাদা করে যত্ন নিতে হয়, একথা আমাদের বেশিরভাগেরই অজানা। আমাদের শরীরে ভারসাম্য ধরে রাখতে কাজ করে হাড়। তাই এর যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সচেতনতার অভাবে একটা সময় হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। বর্তমানে বয়স ত্রিশ পার হলেই অনেকের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডির ঘাটতি দেখা দেয়। যে কারণে হাড় আরো দুর্বল হতে শুরু করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, জয়েন্টের ব্যথা, হাড়ের ভঙ্গুরতা সমস্যা বাড়তে থাকে। এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে না চাইলে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। চলুন জেনে নেয়া যাক হাড় ভালো রাখতে কোন খাবারগুলো খাবেন-

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার : বর্তমানে অনেকেই সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার বেছে নেয়ার প্রতি মনোযোগী নন। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের প্রতিও তাদের অনীহা কাজ করে। কিন্তু এ ধরনের খাবার প্রতিদিন খাওয়া জরুরি। শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের জন্য প্রতিদিন দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া উচিত। এই অভ্যাসের ফলে বার্ধক্যে হাড় সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করা সহজ হবে। দুগ্ধজাত খাবারে অন্যান্য খাবারের তুলনায় ক্যালসিয়াম বেশি থাকে।

চিয়া বীজ : আমাদের শরীরে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিন দুধ এবং মাছ খাওয়া বেশি উপকারী। তবে এগুলো খাওয়া সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে চিয়া বীজ খেতে পারেন। চিয়া বীজে থাকে ক্যালসিয়াম, ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনের মতো পুষ্টি উপাদান। প্রতি একশ’ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় পাঁচশ’ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

সবুজ শাক : সবুজ শাক খেতে পছন্দ করেন নিশ্চয়ই? আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এ ধরনের শাক রাখুন। কারণ এটি নানাভাবে শরীরে পুষ্টি পৌঁছে দেয়। এই শাকে থাকে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, আয়রন, ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম। তাই পালংসহ বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হবে না। এতে ক্যালসিয়াম, আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায়।

বাদাম : প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এটি আপনার হাড় ভালো রাখতে কাজ করবে। কিছু বাদাম রয়েছে যেগুলোতে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে। সেগুলো খেতে পারেন। বাদাম খেলে তা ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন কে, অনেক ধরনের মিনারেল, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পৌঁছে দেয় শরীরে।