সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬ হাজার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বা”চুর বিভিন্ন সময়ে অবৈধ দাবি মেনে না নেয়ায় পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা এক আসামিকে ছেড়ে দেয়ার দাবি করেন বা”চু। পুলিশ ওই দাবি মেনে নেয়নি এবং ওই আসামির বিরুদ্ধে মামলাও নেয় পুলিশ। এরপর বা”চুর নেতৃত্বে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী থানা ঘেরাও করে। সে সময় ওসি আব্দুর রাজ্জাককে অপসারণের দাবিও করা হয়। একপর্যায়ে গত ৪ আগস্ট দুপুরের দিকে সরকার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা থানার সামনে সমবেত হয়। এ সময় ওসি হ্যান্ডমাইক দিয়ে সমবেত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দিলে তারা চলে যায়। পরে বা”চুর নেতৃত্বে ৫ থেকে ৬ হাজার দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে থানায় হামলা চালায়। এতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে তাদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং তারা থানা থেকে অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রোববার রাতে ওই থানার এসআই আব্দুল মালেক বাদী হয়ে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বা”চু, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুল্লুক চাঁন ও ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নাম উল্লেখ ৬ হাজার জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।