এল জি আর ডি ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেছেন, ভূমি জরিপ কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জনগণ প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না। এজন্য জরিপ কার্যক্রমকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জরিপ কার্যক্রমকে আরো ফলপ্রসূ করতে ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার জরিপ প্রথা তুলনামূলক স্টাডির ফলাফলের আলোকে ভূমি মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি উপদেষ্টা আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সভায় স্বাগত বক্তব্যে ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন। এএফ হাসান আরিফ বিগত ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ইতিবাচক অগ্রগতি ও অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, এ অর্জনকে ধরে রাখতে হলে ভূমি জরিপ ব্যবস্থা হয়রানিমুক্ত ও ভূমিবিষয়ক অপরাধের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছ, টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধবসেবা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর ভূমি জাল দলিলের মাধ্যমে অর্থ ও সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি আইন আদালত অঙ্গনে মামলা জট সৃষ্টি হয়। এ ব্যপারে তিনি সূষ্ঠ ভূমি জোনিং ও কঠোর আইন প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভূমি উপদেষ্টা বলেন, যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি অসৎ উপায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য জমিজমা কিনছে, তার সঠিক তথ্য দ্রুত নির্ণয়ে সমন্বিত ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে করে ভূমিবিষয়ক দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।